চমৎকার বাংলাদেশ!

Thursday, November 10, 2011
0 comments
চমৎকার বাংলাদেশ! এখানে চমৎকার কিছু উপস্থাপন করতেই এই সাইটের অবতারণা ।
Read more »

বাংলা ই-বুক রিডার

Monday, October 17, 2011
0 comments
  বাজারে এসেছে বহু প্রতিক্ষিত ই-বুক কি? ই-বুক বা ডিজিটাল বই যা কাগজের বই এর বিকল্প হিসাবে উন্নতবিশ্বে এখন সমাদৃত। ই-বুক কম্পিউটারে টাইপ করা ফাইল যা কম্পিউটারে অথবা বিশেষ ডিজিটাল ডিভাইসে পড়া যায় বলে ঐসব ডিজিটাল ডিভাইসকে ই-বুক রিডার বা ই-রিডার বলা হয়। ই-বুক এর সুবিধা কম্পিউটারে টাইপ করা ফাইল যা পড়তে কাগজে প্রিন্ট করার প্রয়োজন হয় না বলে ই-বুক কাগজের বই অপেক্ষা দামে সস্তা। কয়েক হাজার ই-বুক ছোট্ট একটা ডিভাইসে সংরক্ষণ করা যায় বলে কাগজের বই অপেক্ষা অনেক হালকা এবং সর্বস্তরের পড়ুয়া বিশেষ করে ছাত্র এবং ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাজনক। বাংলা ই-বুক রিডার এটি হাতে বহনযোগ্য, সচরাচর মোবাইল ফোন হতে কিছুটা বড় আকারের রঙ্গিন এবং স্পর্শকাতর পর্দা বিশিষ্ট ডিভাইস। এতে নিম্নে উল্লিখিত সুবিধাগুলি পাওয়া যাবে। -ইউনিকোড ফরমেটের বাংলা অথবা ইংরেজি এবং বাংলা ও ইংরেজির সংমিশ্রণের যেকোনো ফাইল বা ই-বুক এই ডিভাইসে পড়া যাবে। - ই-বুক যাতে হাত বদল বা কপি করা না যায় সে জন্য এই ডিভাইসের নিজস্ব কনভার্টারে ফাইল বা ই-বুক কনভার্ট করার পর তা অন্য কোনো ডিভাইস এমন কি কম্পিউটারেও পড়া যাবে না। এতে সুবিধা হল এই যে, বই প্রকাশকরা ই-বুক বিক্রি করতে আগ্রহী হবেন এবং পাঠকরা অল্প খরচে বই পড়তে পারবেন। এমনকি পাঠ্যবই এবং বিভিন্ন বিষয়ের প্রয়োজনীয় নোট অল্প খরচে এই ডিভাইসে পড়া যাবে। এই ডিভাইসে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত উপন্যাসসমূহ এবং অনেক ইংরেজি নভেল ও গল্প সংযোজিত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে কাজী নজরুল ইসলাম, শরত্চন্দ্রসহ আরও অনেক বিখ্যাত লেখকদের বই বিনামূল্যে কোম্পানীর ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোড করে পড়া যাবে। -ই-বুক ছাড়াও এই ডিভাইসে রঙ্গিন ছবিসহ আমেরিকার বিখ্যাত Britannica Concise Encylopedia, উদাহরণ বাক্য ও উচ্চারণসহ Merriam Webster's Advanced Learner's English Dictionary, বাংলা-ইংরেজি অভিধান, ইংরেজি-বাংলা অভিধান,সাধারণ জ্ঞান, English Test, 14 Languages Translator, আরবী, চাইনিজ, কোরিয়ান ও ইউরোপীয় দেশের মোট ৭ টি অভিধান, বাংলা অর্থসহ পরিপূর্ণ কোরআন, বাংলা বোখারী শরীফ, বেহেশতী জেওর, মোহাম্মদ (সা:) এর জীবনী, এমপিফোর, এমপিথ্রি, ৪ জিবি মেমোরি এবং আরও অনেক অপশন আছে। শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের জ্ঞানান্বেষীদের প্রয়োজনীয় সবকিছু এই ডিভাইসে পাওয়া যাবে। এই ডিভাইস সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানা যাবে কোম্পানীর ওয়েবসাইটে। ঠিকানা: www.banglama.com   
Read more »

নামিয়ে ফেলুন ফ্রি সফটওয়্যার

0 comments
Details
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে সফটওয়্যার। বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে প্রত্যেককেই ব্যবহার করতে হয় নানান ধরনের সফটওয়্যার। অপারেটিং সিস্টেমের সাথে কিছু সফটওয়্যার দেয়া থাকলেও কাজের প্রয়োজনে আরো অনেক সফটওয়্যারই দরকার হয় সবার। ইন্টারনেটের সংযোগ থাকলে খুব সহজেই এ সফটওয়্যারগুলো ডাউনলোড করে নেয়া যায় বিনামূল্যেই। সফটওয়্যার সংগ্রহের প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইটের খবরাখবর নিয়ে এই প্রতিবেদন। লিখেছেন মোজাহেদুল ইসলাম কম্পিউটারের নানান ধরনের কাজের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার। সাধারণ লখালেখি থেকে শুরু করে ছবি দেখা, গান শোনা, ছবি সম্পাদনা করা কিংবা প্রয়োজনীয় যে কোনো ধরনের কাজের জন্যই প্রয়োজন সফটওয়্যার। এসকল সফটওয়্যারটি অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায় না কারো কাছে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে খুঁজে বের করা যায় যে কোনো সফটওয়্যার। বেশিরভাগ সফটওয়্যার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলেও কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোকে বলা যায় সফটওয়্যার ভান্ডার। এসব ওয়েবসাইটে গেলে সেখান থেকেই পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সফটওয়্যার। এরকম কিছু ওয়েব সাইটের পরিচিতি তুলে ধরা হলো। সিনেট তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হলো সিনেট। এই সাইটে প্রযুক্তি বিশ্বের খবরাখবর, বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের রিভিউসহ রয়েছে সফটওয়্যারের একটি বিশাল সংগ্রহ। ১৯৯৪ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে এই সাইটটি সফটওয়্যার ডাউনলোডের একটি নির্ভরশীল স্থানে পরিণত হয়েছে। সিনেট  নেটওয়ার্কের আওতায় কাজ শুরু হলেও ২০০৮ সালে সিনেট নেটওয়ার্ক কিনে নেয় বিবিএস ইন্টার্যাকটিভ। সিনেট ডাউনলোড অংশে রয়েছে এর সফটওয়্যার সংগ্রহ যাতে রয়েছে ৪ লাখেরও বেশি সফটওয়্যার। বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি থেকে এখানে বেছে নেয়া যায় প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার। সিনেট ডাউনলোডের শুরুতেই রয়েছে উইন্ডোজ, ম্যাক, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বাছাইয়ের সুবিধা। যে কোনো প্লাটফর্মের জন্যই এতে রয়েছে পপুলার লিংকস সেখান থেকে জনপ্রিয়তম এবং সবচেয়ে বেশি ডাউনলোডকৃত সফটওয়্যারের তালিকা পাওয়া যায়। এর সাব লিংক-এ রয়েছে মোস্ট পপুলার, নিউ রিলিজ, এডিটরস পিক, ইউজার ফেভারিট, টপ ফ্রি ওয়্যার, আপডেট ইওর সফটওয়্যার প্রভৃতি। এর পরে ক্যাটাগরি মেন্যুতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের তালিকা। এর মধ্যে রয়েছে সিকিউরিটি সফটওয়্যার, ব্রাউজার, বিজনেস সফটওয়্যার, কমিউনিকেশন, ডেস্কটপ এনহ্যান্সমেন্ট, ডিজিটাল ফটো সফটওয়্যার, ড্রাইভার, এডুকেশনাল, এন্টারটেইনমেন্ট, গেমস, গ্রাফিক ডিজাইন, হোম, ইন্টারনেট, ইউটিলিটি, ভিডিও, অডিও প্রভৃতি ক্যাটাগরি। যে কোনো ক্যাটাগরিতে ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে যে কোনো সফটওয়্যার ক্লিক করলেই পাওয়া যাবে সফটওয়্যারটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য, সফটওয়্যারটি নিয়ে একটি রিভিউ এবং ডাউনলোড লিংক। এই সফটওয়্যারটি কতবার ডাউনলোড হয়েছে, সে তথ্যও পাওয়া যাবে সেখানে। এছাড়াও নির্দিষ্ট কোনো সফটওয়্যার খুঁজতে চাইলে সার্চ বক্সে তার নাম লিখলেই সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারটি পাওয়া যাবে। রিভিউসহ সফটওয়্যারের বেশ ভালো একটি সংগ্রহশালা সিনেট ডাউনলোড। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন সফটওয়্যার ডাউনলোড হয়। সাইটটির ঠিকানা download.cnet.com ব্রাদারসফট সফটওয়্যারের আর একটি ভালো এবং জনপ্রিয় সংগ্রহ হচ্ছে ব্রাদারসফট। ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্রাদার সফট মূলতই একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড পোর্টাল। আলাদা আলাদা ব্যবহারকারীর হিসেবে এটি ইন্টারনেট ট্রাফিক পর্যবেক্ষনকারী সংস্থা কমস্কোরের শীর্ষ ওয়েবসাইটের তালিকাতেও স্থান পেয়েছে। ২ লাখেরও বেশি সফটওয়্যার সংগ্রহ রয়েছে ব্রাদারসফটে। ফ্রি সফটওয়্যারগুলো এখান থেকে ডাউনলোড করা যায় বিনামূল্যেই। এখানেও রয়েছে উইন্ডোজ এবং ম্যাক উভয় প্লাটফর্মের সফটওয়্যার সংগ্রহ। আর প্রতিটি সফটওয়্যার সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। সিকিউরিটি সফটওয়্যার থেকে শুরু করে অডিও-ভিডিও, ছবি সম্পাদনা, ভিডিও সম্পাদনা, ডেস্কটপ ইউটিলিটি, ইন্টারনেট - সব ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে এতে। পাশাপাশি রয়েছে গেমস, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, উইডগেট, ড্রাইভারসহ ওয়ালপেপারও। বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তৈরি সফটওয়্যারগুলোও ব্রাউজ করা যায় প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে ‘ব্র্যান্ড জোন’-এ। আরও রয়েছে সফটওয়্যারের বর্ণানুক্রমিক তালিকা। পাশাপাশি এর ব্লগে ঢুকলে পাওয়া যাবে সফটওয়্যার সম্পর্কিত নানান আলোচনা যা সফটওয়্যারের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে। এ সাইটের ঠিকানা www.brothersoft.com সফট পিডিয়া উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্সসহ মোবাইল-এর জন্যও নানান ধরনের সফটওয়্যার আর অ্যাপ্লিকেশনের আরেকটি বড় ধরনের সংগ্রহ সফটপিডিয়া। এখানে অবশ্য প্রযুক্তি বিশ্বের নিত্যনতুন খবরাখবরও মিলে থাকে। ২০০১ সালে চালু হওয়া সফটপিডিয়া অনেকের কাছেই সফটওয়্যার ডাউনলোডের অন্যতম নির্ভরযোগ্য একটি ওয়েবসাইট। অ্যালেক্সা ট্রাফিক র্যাংকিং-এ এর স্থান রয়েছে উপরের দিকেই। এখানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মোট সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা ৮ লাখেরও বেশি। এর সফটওয়্যার ব্রাউজ ট্যাবের মধ্যে রয়েছে উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স, ড্রাইভার, গেমস, স্ক্রিপ্ট, মোবাইল ইত্যাদি। যে কোনো ট্যাব থেকেই সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের তালিকা পাওয়া যায় সহজেই। আর তালিকা থেকে কোনো সফটওয়্যার সিলেক্ট করলে তার রিভিউ এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় ডাউনলোড লিংকসহ। সফটওয়্যারের রিভিউ হিসেবে সফটপিডিয়া রিভিউকে বেশ মানসম্মত এবং নির্ভরযোগ্য হিসেবেই মনে করা যায় হয়। সফটপিডিয়ারের ঠিকানা : www.softpedia.com সফটনিক ১৯৯৭ সালে চালু হওয়া সফটনিক মূলতই স্পেনের বার্সোলোনা ভিত্তিক সফটওয়্যার ডাউনলোড পোর্টাল। স্পেনের সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা ডাউনলোড পোর্টাল হচ্ছে সফটনিক। স্প্যানিশ ওয়েবসাইট হলেও সফটনিক রয়েছে ইংরেজি ভাষাতেও। এখানে সফটওয়্যার প্লাটফর্ম হিসেবে রয়েছে উইন্ডোজ, ম্যাক, পাম ওএস, পকেট পিসি, ফোন এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। সফটওয়্যার ক্যাটাগরি হিসেবে এখানে রয়েছে ইন্টারনেট, ইউটিলিটিস, ডিজাইন এন্ড ফটোগ্রাফি, কাস্টমাইজ ইওর পিসি, অডিও, ভিডিও, সিকিউরিটি, সাইন্স এন্ড এডুকেশন, ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। প্রতিটি ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সাব-ক্যাটাগরি। সফটনিকেও রয়েছে প্রতিটি সফটওয়্যারের রিভিউ, সফটনিক রেটিং, ইউজার রেটিং এবং সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের রিভিউ। আপনি নিজেও সফটনিকে নিবন্ধন করে যে কোনো সফটওয়্যার সম্পর্কিত আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন। পছন্দের এবং প্রয়োজনের সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে আপনি ভিজিট করতে পারেন en.softonic.com ওয়েবসাইটে। সফট ৩২ বিভিন্ন সফটওয়্যারের সংগ্রহ, সফটওয়্যারের বর্ণনা ও রিভিউসহ প্রয়োজনীয় আরেকটি ওয়েবসাইট হচ্ছে সফট৩২। এখানেও রয়েছে উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স, মোবাইল এবং আইফোনের জন্য আলাদা আলাদা প্লাটফর্মের সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। এর হোম পেজেই রয়েছে লেটেস্ট উইন্ডোজ সফটওয়্যারের একটি তালিকা। তার পরেই রয়েছে সবচেয়ে জনপ্রিয় উইন্ডোজ সফটওয়্যারের তালিকা যাতে আলাদা আলাদা করে ফ্রিওয়্যার এবং শেয়ার ওয়্যার-এর তালিকা রয়েছে। এর ডাউনলোড ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে অডিও, ডেস্কটপ ম্যানেজমেন্ট, ড্রাইভার, গ্রাফিক্স, ইন্টারনেট, সিকিউরিটি, ভিডিও, বিজনেস, ডেভেলপার টুলস, গেমস, হোম এন্ড এডুকেশন, নেটওয়ার্ক টুলস, সিস্টেম ইউটিলিটিস, ওয়েব অথোরিং প্রভৃতি। প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই রয়েছে প্রয়োজনীয় সাব ক্যাটাগরি। পাশাপাশি হট ডাউনলোডের একটি তালিকাতে রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া সফটওয়্যারের একটি তালিকা। সফট৩২-এর ঠিকানা www.soft32.com ম্যাক-এর জন্য সফটওয়্যার ম্যাক ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন ক্রস প্লাটফর্ম ডাউনলোড পোর্টালের পাশাপাশি রয়েছে আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট। এর মধ্যে অবশ্য অ্যাপল নিজেই ম্যাক-এর নানান অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে চালু করেছে ‘ম্যাক অ্যাপ স্টোর’। সেখানে রয়েছে হাজারো অ্যাপ্লিকেশনের সমারোহ। এছাড়াও ম্যাকের জন্য ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে best macsoftware.org, www.pure-mac.com প্রভৃতি। আর ম্যাক অ্যাপস্টোরের ঠিকানা: www.apple.com/mac/app-store লিনাক্সের জন্য লিনাক্স প্লাটফর্মের বিভিন্ন সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপারদের তৈরি নানান সফটওয়্যার। তবে লিনাক্স প্লাটফর্মের জন্য ক্যাননিক্যাল-এই রয়েছে লিনাক্স নির্ভর অ্যাপ্লিকেশনের বিশাল এক সংগ্রহ। এর ঠিকানা www.canonical.com। এছাড়াও রয়েছে www.linux.com/directory, www.ubuntu.com প্রভৃতি ওয়েবসাইট সেখান থেকে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটির ডাউনলোড লিংক পাওয়া যায়।              
Read more »

মোবাইলের চার্জার যখন হূদপিন্ড

0 comments

Details




















আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে আসছে নানান রকম সুযোগ সুবিধা। আধুনিক সব প্রযুক্তি পণ্য নিয়েই গড়ে উঠছে জীবন। এসব প্রযুক্তি পণ্য ছাড়া কল্পনাই করা যায় না একেকটি দিন। বিশ্বব্যাপী বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত প্রযুক্তি পণ্যের নাম মোবাইল ফোন। উন্নত দেশ থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলোতেও এখন সব ধরনের মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল ফোন। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত বিবেচনা করলেও বর্তমানে প্রায় ৭ কোটি মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের অপরিহার্য অংশ এর চার্জার। তবে দিন ফুরিয়ে আসছে বোধহয় চার্জারের! হ্যাঁ, বিজ্ঞানীরা এমন ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন, যাতে করে শরীরের স্বাভাবিক চলাফেরা এবং এমনকি হূদপিন্ডের স্পন্দনের সাথে সাথেই চার্জ হয়ে যাবে এর ব্যাটারী। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল গবেষক সম্প্রতি তৈরি করেছেন এক ন্যানোজেনারেটর যা শরীরের  স্বাভাবিক চলাফেরা এবং হূদস্পন্দনের গতি থেকেই মোবইলের ব্যাটারি রিচার্জ করার প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করতে সক্ষম। ন্যানোজেনারেটর মূলত অতি ক্ষুদ্রাকৃতির একটি চিপ যা সংযুক্ত থাকবে মোবাইল ডিভাইসের সাথে। ডিভাইসটি বহন করার সময়ই এটি শক্তি সংগ্রহ করে চার্জ করবে সেই ডিভাইস। গবেষকরা আশা করছেন এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে এমপিথ্রি প্লেয়ার বা মোবাইল ফোনের মত ডিভাইসগুলো ব্যাটারির আর প্রয়োজন হবে না। এখন পর্যন্ত তারা যে ন্যানোজেনারেটর তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, তা                          দিয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির এলইডি বা এলসিডি ডিসপ্লে চালানো যাবে। এর ধারাবাহিকতাতেই তারা মোবাইল চালানোর শক্তি অর্জনের আশাবাদ জানিয়েছেন। ন্যানোজেনারেটর নিজেই একটি নমনীয় কম্পিউটার চিপ যা যান্ত্রিক চাপকে ইলেকট্রিক্যাল শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। প্রায় ছয় বছর ধরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র গবেষক লং লিন ওয়া এবং তার সহকর্মীরা এটি নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের বর্তমান সাফল্য এই প্রযুক্তির সূচনা মাত্র। এর পরিপূর্ণ সুফল বহনযোগ্য সকল ডিভাইসের ভবিষ্যত ডিজাইনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।                                  
 স্বাভাবিক চলাফেরা এবং হূদস্পন্দনের গতি থেকেই মোবইলের ব্যাটারি রিচার্জ করার প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করতে সক্ষম। ন্যানোজেনারেটর মূলত অতি ক্ষুদ্রাকৃতির একটি চিপ যা সংযুক্ত থাকবে মোবাইল ডিভাইসের সাথে। ডিভাইসটি বহন করার সময়ই এটি শক্তি সংগ্রহ করে চার্জ করবে সেই ডিভাইস। গবেষকরা আশা করছেন এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে এমপিথ্রি প্লেয়ার বা মোবাইল ফোনের মত ডিভাইসগুলো ব্যাটারির আর প্রয়োজন হবে না। এখন পর্যন্ত তারা যে ন্যানোজেনারেটর তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, তা দিয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির এলইডি বা এলসিডি ডিসপ্লে চালানো যাবে। এর ধারাবাহিকতাতেই তারা মোবাইল চালানোর শক্তি অর্জনের আশাবাদ জানিয়েছেন। ন্যানোজেনারেটর নিজেই একটি নমনীয় কম্পিউটার চিপ যা যান্ত্রিক চাপকে ইলেকট্রিক্যাল শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। প্রায় ছয় বছর ধরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র গবেষক লং লিন ওয়া এবং তার সহকর্মীরা এটি নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের বর্তমান সাফল্য এই প্রযুক্তির সূচনা মাত্র। এর পরিপূর্ণ সুফল বহনযোগ্য সকল ডিভাইসের ভবিষ্যত ডিজাইনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।        

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে আসছে নানান রকম সুযোগ সুবিধা। আধুনিক সব প্রযুক্তি পণ্য নিয়েই গড়ে উঠছে জীবন। এসব প্রযুক্তি পণ্য ছাড়া কল্পনাই করা যায় না একেকটি দিন। বিশ্বব্যাপী বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত প্রযুক্তি পণ্যের নাম মোবাইল ফোন। উন্নত দেশ থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলোতেও এখন সব ধরনের মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল ফোন। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত বিবেচনা করলেও বর্তমানে প্রায় ৭ কোটি মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের অপরিহার্য অংশ এর চার্জার। তবে দিন ফুরিয়ে আসছে বোধহয় চার্জারের! হ্যাঁ, বিজ্ঞানীরা এমন ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন, যাতে করে শরীরের স্বাভাবিক চলাফেরা এবং এমনকি হূদপিন্ডের স্পন্দনের সাথে সাথেই চার্জ হয়ে যাবে এর ব্যাটারী। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল গবেষক সম্প্রতি তৈরি করেছেন এক ন্যানোজেনারেটর যা শরীরের স্বাভাবিক চলাফেরা এবং হূদস্পন্দনের গতি থেকেই মোবইলের ব্যাটারি রিচার্জ করার প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করতে সক্ষম। ন্যানোজেনারেটর মূলত অতি ক্ষুদ্রাকৃতির একটি চিপ যা সংযুক্ত থাকবে মোবাইল ডিভাইসের সাথে। ডিভাইসটি বহন করার সময়ই এটি শক্তি সংগ্রহ করে চার্জ করবে সেই ডিভাইস। গবেষকরা আশা করছেন এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে এমপিথ্রি প্লেয়ার বা মোবাইল ফোনের মত ডিভাইসগুলো ব্যাটারির আর প্রয়োজন হবে না। এখন পর্যন্ত তারা যে ন্যানোজেনারেটর তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, তা দিয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির এলইডি বা এলসিডি ডিসপ্লে চালানো যাবে। এর ধারাবাহিকতাতেই তারা মোবাইল চালানোর শক্তি অর্জনের আশাবাদ জানিয়েছেন। ন্যানোজেনারেটর নিজেই একটি নমনীয় কম্পিউটার চিপ যা যান্ত্রিক চাপকে ইলেকট্রিক্যাল শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। প্রায় ছয় বছর ধরে জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র গবেষক লং লিন ওয়া এবং তার সহকর্মীরা এটি নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের বর্তমান সাফল্য এই প্রযুক্তির সূচনা মাত্র। এর পরিপূর্ণ সুফল বহনযোগ্য সকল ডিভাইসের ভবিষ্যত ডিজাইনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। (সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক ১৭ অক্টোবর)       






Read more »

হাতের ঈশারায় চলুক বিশ্ব

0 comments
Details
প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার গতিটা সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত বেগবান হয়ে উঠেছে। কল্পনা আর বাস্তবের সীমারেখাটা এখন ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। এক সময় যা কেবল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর গল্প ছিল, তার অনেক কিছুই এখন বাস্তব হয়ে ধরা দিচ্ছে আমাদের মাঝে। ঠিক এরকম আরেক বাস্তবতার সামনে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিতে যাচ্ছেন মাইক্রোসফট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন-এর একদল গবেষক।
একসময় মানুষের কল্পনা ছিল দূর থেকেই কোনো যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করার। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের হাতে এক সময় চলে আসে ‘রিমোট কন্ট্রোল’ বা ‘দূরনিয়ন্ত্রণ’ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে নানান ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু যদি ঈশারার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়, সে প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত মানুষের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। বিছানায় বসে থেকেই আঙ্গুলের ঈশারায় লাইট বা ফ্যানের মতো যন্ত্র চালু বা বন্ধ করা অথবা কম্পিউটারের কোনো অ্যাপ্লিকেশন চালু করা অথবা টিভি চালু করা এখনও পর্যন্ত আমাদের কল্পনার রাজ্য পেরিয়ে বাস্তবে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে সে সময়ের বুঝি অবসান ঘটতে চলল।
গত কিছুদিন ধরেই মাইক্রোসফট তাদের গেম কনসোল এক্সবক্স-এর জন্য তৈরি করেছে এক বিশেষ ডিভাইস ‘কাইনেক্ট’। এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নড়াচড়ার মাধ্যমে একটি গেমকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। অঙ্গসঞ্চালনের এই ব্যবহারকে এখন গেমের বাইরেও নানামুখী বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মাঝে ছড়িয়ে দিতে একযোগে কাজ করছেন মাইক্রাসফট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন এর গবেষক দল। তাদের আশাবাদ ভবিষ্যতে হয়তো লাইট-ফ্যান অন-অফ করা বা স্টেশন থেকে ট্রেনের টিকেট কেনা বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রণেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গবেষকরা মানবদেহকে ব্যবহার করতে যাচ্ছেন এই অ্যান্টেনা হিসেবে। এই প্রযুক্তিতে মানবদেহের সাথে সংযুক্ত থাকবে একটি ছোট্ট ডিভাইস যা মূলত কাজ করবে নানান ধরনের সিগন্যাল প্রসেসর হিসেবে। হাত, পা বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নড়াচড়ার প্রতিটি মুহূর্ত এটি সনাক্ত করতে সক্ষম হবে আর তার সাথে সেই নড়াচড়াগুলোর সংশ্লিষ্ট কমান্ডগুলোকে সেটি অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রে পাঠাতে সক্ষম হবে কমান্ড হিসেবে।
বিষয়টি নিয়ে মাইক্রোসফট-এর গবেষকদলের সিনিয়র গবেষক ডেসনি ট্যান বলেন, ‘এটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই কোনো টিকেট বিক্রয় মেশিনের সামনে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ঈশারাতেই জানিয় দিতে পারবেন। অথবা গ্যাস স্টেশনে গিয়ে আপনার গাড়ির জন্য কতটুকু গ্যাস প্রয়োজন, তা মেশিন স্পর্শ না করেই জানাতে পারবেন।
গবেষক দলের ধারণা অনুযায়ী এই প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচও হবে তুলনামূলকভাবে কম। গেম কনসোল নিনটেনডো উই বা কাইনেক্ট-এর মতো এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বাড়তি কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। বরং বাসাবাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগবাহী তার যে তড়িত্-চৌম্বকীয় বিকিরণ দিয়ে থাকে, সেই তড়িত্-চৌম্বকীয় বিকিরণ ব্যবহার করেই এই প্রযুক্তি কাজ করতে সক্ষম হবে। এরকম যে কোনো স্থানের বৈদ্যুতিক সংযোগ বা যন্ত্র থেকে স্বাভাবিক সে তড়িত্-চৌম্বকীয় বিকিরণ ঘটে থাকে, সেটাই এই প্রযুক্তি কার্যকর করার জন্য যথেষ্ট হবে বলেই তাদের ধারণা। এসব তড়িত্-চৌম্বকীয় বিকিরণের সাথে ক্রিয়া করবে মানবদেহের স্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র। আর এসব বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বা তড়িত্-চৌম্বকীয় বিকিরণ সর্বদাই স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে অবস্থান করে বলে এগুলো থেকে মানবদেহের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম।
আসলে যে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা বৈদ্যুতিক সংযোগের আশেপাশে মানবদেহের অবস্থান ব্যতিচার তৈরি করে থাকে। এটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই অনেক বিজ্ঞানী এবং গবেষক কাজ করে যাচ্ছেন। মাইক্রোসফট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের এই গবেষক দলের একজন ড. সুইটেক এন প্যাটেল এই প্রযুক্তি নিয়েই কাজ করছেন দীর্ঘদিন থেকে। তার সাথ আরও কাজ করছেন ইউনিভার্সিটি অফ ডিউক-এর ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ম্যাট রেনল্ডস। ম্যাট রেনল্ড নতুন এই প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেছেন, ‘মানবদেহের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল ছিলাম আগে থেকেই। নতুন এই প্রযুক্তির সার্থকতা হচ্ছে মানবদেহের সেইসব সিগন্যালকে কম্পিউটারের বোধগম্য সিগন্যাল হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারা। আর এ কাজটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সাফল্যের একটি কাজ।’ (সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক ১৭ অক্টোবর)


Read more »

পিসি ভাইরাসমুক্ত রাখতে অ্যান্টি ভাইরাসের বিকল্প

0 comments


Details
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অন্যতম প্রধান সমস্যার নাম ভাইরাস। নানান উত্স থেকে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে পেনড্রাইভের মাধ্যমে, ডিস্কের মাধ্যমে, মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে এবং অন্যান্য এক্সটার্নাল ডিভাইসের মাধ্যমে। এছাড়া ইন্টারনেট থেকেও পিসিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। এইসব ভাইরাস একবার পিসিকে আক্রমণ করলে পিসিতে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ভাইরাসগুলো ধরন ভেদে পিসি’র গতিকে ধীর করে দেয়, পিসি’র নানান ধরনের তথ্যকে মুছে দেয় হার্ডডিস্ক থেকে, হার্ডডিস্ককে বিকল করে দেয় বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য পাচারও করতে পারে। তাই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা আবশ্যক। তবে কাজটি সহজ নয়।

ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে মানসম্মত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা। তবে অ্যান্টিভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে আরেকটি বিষয় হচ্ছে পূর্ব সতর্কতা। আর তার জন্য প্রযোজন পিসি’র অটোরান বন্ধ করে দেয়া। সাধারণত পিসিতে ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে এক্সটানাল ডিভাইস থেকে। আর এসব ডিভাইস পিসিতে রান করলেই কেবল এসব ভাইরাস কার্যকরী হয়ে ওঠে। এসব এক্সটার্নাল ডিভাইস বা ড্রাইভ সরাসরি রান না করতে পারলে এসব ভাইরাস কার্যকরী হয়ে ওঠে না। তাই পিসিকে ভাইরাস মুক্ত রাখার একটি পূর্বশর্ত হচ্ছে অটোরান বন্ধ রাখা। অটোরান বন্ধ করতে পিসি’র start বাটন থেকে run-এ গিয়ে gpedit.msc টাইপ করে ok বাটনে ক্লিক করুন। এবার নতুন একটি উইন্ডো আসবে। এখান থেকে computer configuration সিলেক্ট করুন। এরপর administrative templates->system-এ যান। এখান থেকে turn off autoplay-তে ডাবল ক্লিক করুন। এরপর 'turn off autoplay' enable করতে হবে এবং 'turn off autoplay on' ড্রপ-ডাউন বক্স থেকে 'All drives' নির্বাচন করতে হবে। এবার ok বাটনে ক্লিক করলেই কম্পিউটারের সব ধরনের ডিভাইসের অটোরান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে কোনো পেনড্রাইভ বা অন্যান্য এক্সটার্নাল ডিভাইস পিসিতে লাগালেই তা খুলবে না এবং ভাইরাসগুলো আক্রমণ করতে পারবে না।

অনেক সময় এক্সটারনাল ড্রাইভগুলো থেকে কম্পিউটারে তথ্য স্থানান্তরের সময়েও ভাইরাস ঢুকে পড়তে পারে। তাই ড্রাইভগুলো না খুলেই তথ্য আদান প্রদান করার ব্যবস্থা করতে হবে। আর এর জন্য রয়েছে কিছু সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। এরকম একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যাবে www.explorerxp.com/explorerxpsetup.exe থেকে। এটি ইন্সটল করে রান করালেই পিসিতে যুক্ত সকল ড্রাইভ দেখা যাবে। আর এখান থেকেই এক ড্রাইভ থেকে অন্য ড্রাইভে তথ্য আদান প্রদানের কাজটি করা যাবে সহজেই। আবার যদি কোনো ফাইলে ভাইরাস থাকে, তাহলে সেটিও নোটিফিকেশন আকারে দেখিয়ে দেবে সফটওয়্যারটি। সেক্ষেত্রে ভাইরাসযুক্ত ফাইলগুলো গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর একটি বিষয় হচ্ছে, ভাইরাসের বড় একটি অংশই হচ্ছে .exe এক্সটেনশনযুক্ত। তাই গ্রহণযোগ্য উত্স ব্যতীত .exe এক্সটেশনের ফাইল পিসিতে না নেয়াই ভালো। (সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ অক্টোবর)



Read more »

বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় একধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ

0 comments

মোজাহেদুল ইসলাম 

Details

আইটি ইন্ডাস্ট্রির কম্পেটিটিভনেস ইনডেস্ক ২০১১ জরিপে

গত কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে এর মাঝেও সংশ্লিষ্ট বেশকিছু খাতে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। যার ফলে সম্প্রতি বিএসএ এবং ইআইইউ এর এক র্যাংকিং এ আগেরবারের তুলনায় একধাপ পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে আজকের প্রতিবেদনটি লিখেছেন মোজাহেদুল ইসলাম

তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। বিজনেস সফটওয়্যার এলায়েন্স (বিএসএ) সম্প্রতি ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ই আই ইউ) এর আইটি ইন্ডাস্ট্রি কমপিটেটিভনেস ইনডেক্স-২০১১ সংকলনে এই তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছে।
এবারসহ ২০০৭ এর পর চতুর্থবারের মতো ইনডেক্সটি হালনাগাদ করা হলো। এই ইনডেক্সটি ৬৬টি দেশকে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার করে যেমন: সর্বোপরি ব্যবসার পরিবেশ, তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো, মানবসম্পদ, গবেষণা ও উন্নয়ন, আইন সংক্রান্ত পরিবেশ এবং জনসমর্থন।
আইটি ইন্ডাস্ট্রি কমপেটিটিভনেস ইন্ডেক্স এর ২০১১ সালের সংকলনটি বিএসএর ওয়েবসাইট (www.bsa.org/globalindex) থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়াও ওয়েবসাইটটিতে র্যাংকিং টেবিল, সদস্যদেশগুলোর ওপর বিস্তারিত তথ্য, ইন্ডাস্ট্রি কেস স্টাডি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ভিডিও ইন্টারভিউ পাওয়া যাবে।
২০১১ এর র্যাংকিং এ সবচেয়ে উপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশ র্যাংকিং এ এক ধাপ নেমে এখন বিশ্বে ৬৩তম। বিএসএর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র পলিসি ডিরেক্টর রজার সমারভিলের মতে, ‘সর্বোপরি ব্যবসার পরিবেশ খারাপ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের এই অবনমনের মূল কারণ। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সঠিক পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’
এ বছরের ইন্ডেক্স র্যাংকিং থেকে বোঝা যায়, যে সব দেশগুলো বছরের পর বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করেছে মূলত তারাই এখন বিনিয়োগ এর সুফল পাচ্ছে। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলো এগিয়ে আসার ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে আর উন্নত দেশগুলোকে তাদের স্থান ধরে রাখার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে।
বিএসএ প্রেসিডেন্ট ও সিইও রবার্ট হলিম্যান এর ভাষ্যমতে, ‘এ বছরের আইটি ইন্ডাস্ট্রি কমপিটেটিভনেস ইনডেক্স থেকে বোঝা যায় যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য আনে। সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সামনে সুযোগ আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করার। এ বিনিয়োগ যে বৃথা হবে না তা বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়।’
ইনডেক্স এর তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে সবচেয়ে বেশী এগিয়েছে মালয়েশিয়া। গবেষণা ও উন্নয়নে বিশাল বিনিয়োগের সুবাদে ২০০৯ এর র্যাংকিং থেকে ১১ ধাপ এগিয়েছে দেশটি। ১০ ধাপ এগিয়ে ভারতও খুব পিছিয়ে নেই। এছাড়াও শক্ত অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর, মেক্সিকো, অস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং পোল্যান্ড।
রবার্ট হলিম্যান এর মতে, ‘যেহেতু বিশ্ব অর্থনীতি মন্দাভাব কাটিয়ে উঠেছে, তাই সরকারগুলোর বোঝা উচিত যে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার এটাই সবচেয়ে মোক্ষম সময়।’ তিনি আরও বলেন, ‘নীতিনির্ধারকেরা যদি এক বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এগোন তাহলে পিছিয়ে পড়বেন। পরিকল্পনা হতে হবে ৭ থেকে ৯ বছরের এবং বিনিয়োগ হতে হবে পর্যাপ্ত।’
র্যাকিংয়ের নিয়ামক সমূহ
বিএসএ’র এই বেঞ্চ মার্ক তৈরিতে যে সূচকগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোকে ছয়টি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। এই ছয়টি শ্রেণী হচ্ছে—
১. সার্বিক ব্যবসার পরিবেশ
২. আইটি অবকাঠামো
৩. মানব সম্পদ
৪. গবেষণা ও উন্নয়ন
৫. আইনি পরিবেশ
৬. আইটি শিল্প উন্নয়নে সমর্থন
সার্বিকভাবে র্যাংকিং করার জন্য সঠিক ব্যবসা পরিবেশর এর ১০% আইটি অবকাঠামোর ২০%, মানব সম্পদের ২০%, গবেষণা ও উন্নয়নে ২৫%, আইনি পরিবেশে ১০% এবং আইটি শিল্প উন্নয়নে সমর্থনে ১৫% মান ধারা হয়েছে।
এই শ্রেণীগুলোর মধ্যে যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে, সেগুলো হলো- বিদেশি বিনিয়োগের সরকারি নীতিমালা, প্রাইভেট সেক্টরে সম্পত্তি সংরক্ষণ, নতুন ব্যবসা শুরুতে সরকারি নীতিমালা, আইটি খাতে বিনিয়োগ, কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা, ইন্টারনেট সুরক্ষা, মোবাইল ব্যবহারের প্রসার, উচ্চ শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার, প্রযুক্তি দক্ষতা, সরকারি গবেষণা, রয়্যালটি, মেধাস্বতত্ব সংরক্ষণ আইন, মেধাস্বত্ত্ব আইনের প্রয়োগ, ইলেকট্রিক স্বাক্ষর, ই-গর্ভর্নমেন্ট কৌশল, সরকারি কাজকর্মে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রভৃতি। এসকল বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ মোট পয়েন্টের ভিত্তিতে এই র্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে।
র্যাংকিং এর উল্লেখযোগ্য দিক
এবারের র্যাংকিং-এ গতবারের মতোই শীর্ষস্থানে রয়েছে যুুক্তরাষ্ট্র এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। তবে ৬ ধাপ এগিয়ে সিঙ্গাপুরের অবস্থান এখন তৃতীয়। সার্বিক ব্যবসার পরিবেশ, আইন পরিবেশ এবং আইটি শিল্প উন্নয়নে সমর্থনের জায়গাগুলোতে অনেকখানি এগিয়েছে এই দেশটি। এই তালিকায় আরো একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় মালয়েশিয়া এবং ভারতের উত্তরণ। তালিকায় ১১ ধাপ এগিয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থান এখন ৩১ এ। আর ১০ ধাপ এগিয়ে ভারতের অবস্থান ৩৪ এ। সবচেয়ে বড় অবমনটি লিথুনিয়ার। ১০ ধাপ পিছিয়ে তারা এখন ৪১তম স্থানে যৌথভাবে অবস্থান করছে তুরস্কের সাথে যারা ৫ ধাপ এগিয়েছে। অন্যদিকে ৮ ধাপ পিছিয়ে রাশিয়া ৪৬তম স্থানে অবস্থান করছে।
র্যাংকিং-এ অবনমন বাংলাদেশের
গত বছরের র্যাংকিং-এ ৬২তম স্থানে থাকলেও এবার একধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে ৬৩তে। সার্বিক র্যাংকিং পয়েন্টে বাংলাদেশের আজ সর্বমোট ২০.৬ পয়েন্ট। গতবারের র্যাংকিং এ বংলাদেশের অর্জিত পয়েন্ট ছিল ২১.১। এবারে ব্যবসায় পরিবেশে বাংলাদেশের অর্জন ৪৭.১ পয়েন্ট, আইটি শিল্প বিকাশে সমর্থনে ৫১ পয়েন্ট, আইনি পরিবেশে ৪০ পয়েন্ট এবং মানব সম্পদে ২০.১ পয়েন্ট। সার্বিক ব্যবসার পরিবেশে, আইটি শিল্প বিকাশ সমর্থ এবং আইনি পরিবেশে বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মোটামুটি সন্তোষজনক পয়েন্ট লাভ করলেও আইটি অবকাঠামোতে বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র ০.৯ পয়েন্ট। আর গবেষণা ও উন্নয়নে কোনো পয়েন্ট পেতে ব্যর্থ হয়ে এই দেশ। মূলতঃ এই দুটি খাতেই বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় পরিবর্তন না ঘটাতে পারলে বাংলাদেশের পক্ষে তথ্য প্রযুুক্তি এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না।
প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে এখন তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে আসার জন্য আসলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগের বিকল্প নেই। আর তার জন্য প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ এবং বেসরকারি উদ্যোগকে উত্সাহিত করা। তা না হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে আসা যাবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.bsa.org/globalindex
Read more »
 

Admin

My Photo
Shah Alam Badsha
View my complete profile

About This Blog

Poll

Powered By Blogger
Powered by Blogger.

Counter

 

© 2010 Excellent Bangladesh